কোবাইয়াশি ইসার হাইকু
অনুবাদ: নান্নু মাহবুব
[কোবাইয়াশি ইসা (১৭৬৩-১৮২৮) জাপানের এডো আমলের (১৬০০-১৮৬৮) বিখ্যাত হাইকু কবি। কমবেশি কুড়ি হাজার হাইকু তিনি সৃষ্টি করেছিলেন।
হাইকুতে সাধারণত পাশাপাশি স্থাপিত দু’টি আপাত দূরান্বয়ী চিত্রকল্পের ফিউসনে একটা তৃতীয়, অভাবনীয় চিত্রকল্পের সৃষ্টি হয়। অনুক্ত অংশই হাইকুর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অংশ। দু’শো বছর আগের জাপানে রচিত ইসার হাইকু সূক্ষ্ম কৌতুকপ্রবণ, বিস্ময়সংবেদী, অপরূপ, এক-একটি
উপলখণ্ডের মতো।]
উপলখণ্ডের মতো।]
…………..
*
বিদ্যুচ্চমক─
শুধু কুকুরের মুখ
নিষ্পাপ।
*
ছোট্ট শামুক,
ইঞ্চি-ইঞ্চি, বেয়ে ওঠো
ফুজি পর্বত!
*
শিশিরের এই বিশ্ব
শুধু এক শিশিরের বিশ্ব─
তবুও…
*
বসন্ত বরিষণে
সুরূপা কন্যা এক
তোলে হাই।
*
বুদ্ধের কাছে
যতক্ষণ করি প্রার্থনা,
মারতে থাকি মশা।
*
আপনাতে
নত হয় মোর মাথা…
কামিজি পর্বত।
*
নিস্তব্ধতা─
হ্রদের গভীরে
উত্তাল মেঘদল।
*
আইরিস─
ওই রঙধনু
শুরু হয় যেইখানে।
[আইরিসের পাপড়িতে বর্ণালীর রঙগুলো গাঢ় রেখায় ভেতর দিক থেকে
ওপর দিকে উঠে আসে। ইসা বলছেন─প্রস্ফুটিত আইরিস থেকেই
উঠে আসছে আকাশের রঙধনু।
ওপর দিকে উঠে আসে। ইসা বলছেন─প্রস্ফুটিত আইরিস থেকেই
উঠে আসছে আকাশের রঙধনু।
গ্রীক ভাষায় আইরিস হলো রঙধনু, ইসা হয়তো সেটা জানতেন না কিন্তু
তার এই সম্পর্কের কল্পনাটা মিলে যাচ্ছে অনেক পশ্চিমা কল্পনার সাথে।
আইরিস হলো মৃত্তিকার রঙধনু আর রঙধনু হলো আকাশের ফুল।
তার এই সম্পর্কের কল্পনাটা মিলে যাচ্ছে অনেক পশ্চিমা কল্পনার সাথে।
আইরিস হলো মৃত্তিকার রঙধনু আর রঙধনু হলো আকাশের ফুল।
(Courtesy:
David G. Lanoue)]
David G. Lanoue)]
*
বুদ্ধসত্য,
একটি পাতার শিশিরে
জ্বলজ্বল।
*
গ্রীষ্মের রাত─
নক্ষত্ররাও
ফিসফিস করে নিজেরা।
*
ফড়িঙের চোখে
বিম্বিত─
পর্বতসারি।
*
ঘাসে-ঢাকা উপত্যকায়
তুমি ক-তো-কা-ল!
লাল ফড়িঙ।
*
কন্যার সমাধিতে, মৃত্যুর
৩০দিন পরে:
ঝড়ে-পড়া─
এইসব উজ্জ্বল লাল ফুল-ই
কুড়াতে সে ভালবাসতো।
*
কৃশকায় ব্যাঙ, লড়ে যাও!
ইসা
তোমার পাশে।
*
চারা ক্ষীণকায়,
শেষতক
হলো এক টলমলে ফুল।
*
বাবার সাথে
দেখতাম ভোরগুলি,
সবুজ মাঠের ’পরে।
*
চারাধান─
বৃদ্ধ বুদ্ধের
ক্লান্তমুখ।
*
ঘুরি কবরখানায়,
বুড়ো কুকুর
দেখায় পথ।
*
যেখানেই মানুষ
সেখানেই পাবে তুমি মাছি,
আর বুদ্ধ।
*
গলছে তুষার,
আর ছয়লাব গ্রাম
শিশুতে শিশুতে।
.. .. .. ..
[Robert Hass, David G. Lanoue
ও অন্যান্যদের ইংরেজি অনুবাদ থেকে নেওয়া ]
ও অন্যান্যদের ইংরেজি অনুবাদ থেকে নেওয়া ]
.. .. .. ..
Source: http://www.sahityacafe.com